শহীদ জিয়া অমর হোক খালেদা জিয়া জিন্দাবাদ
জনপ্রিয় ত্যাগী নেতা ১/১১ কারাবরণকারী
উপজেলা চেয়ারম্যান
ভিপি আয়নুল হক
জনগণের ভালবাসা বিজড়িত বিপুল ভোটে নির্বাচিত বর্তমান রায়গন্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও এক সময়ের সারা জাগানো ছাত্রনেতা ভি.পি আয়নুল হক । তিনি দেশ ও জনগনের কল্য়াণে জীবন বাজী রেখে বিগত ৩২ বছর ধরে অদ্য়াবধি পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র সাথে সম্পৃক্ত থেকে সকল আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন । এই কর্মবীর জননেতা সিরাজগন্জ জেলার রায়গন্জ উপজেলার চান্দাইকোনা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান । তার পিতাঃ মরহুম আলহাজ্ব মফিজ উদ্দিন শেখ এবং মাতাঃ খৈফুল বেগম । তিনি শৈশবে চান্দাইকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্য়ালয় থেকে লেখাপড়া শুরু করেন । চান্দাইকোনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পাশ করে চান্দাইকোনা হাজী ওয়াহেদ-মরিয়ম অনার্স কলেজে ভর্তি হন এবং অত্র কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন । ১৯৮৫ সালে তিনি কলেজ ছাত্রসংসদের ক্রীড়া সম্পাদক নির্বাচিত হন ।
মেধা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও সাবলীল চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারনে তিনি পর পর ৩ বার চান্দাইকোনা কলেজ ছাত্র সংসদের ভি.পি নির্বাচিত হন (১৯৮৭-৮৮, ১৯৮৮-৮৯ ও১৯৯১-৯২ সাল শিক্ষাবর্ষে ) ।
১৯৯০ সালে এরশাদের স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলনে ভিপি আয়নুল হক রায়গন্জ উপজেলা সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন । তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে ১৯৯০ সালে কারা ভোগ করেন । ৮০ দশকে রায়গন্জ উপজেলায় ছাত্রদল গঠনের মাধ্যমে এলাকায় বিএনপি’র মূল ধারার রাজনীতিতে অভাবনীয় গতির সঞ্চার করেন । সেই সুবাদে তিনি রায়গন্জ-তাড়াশ উপজেলাসহ সিরাজগন্জ জেলার তরুণ প্রজন্মের নিকট অপ্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রনেতা হিসাবে অধিষ্ঠিত হন । ভিপি আয়নুল হক বিভিন্ন সময়ে উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি, একাধিকবার রায়গন্জ উপজেলা যুবদলের সভাপতি ও জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি এবং ৪ দলীয় ঐক্যজোটের রায়গন্জ শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক নির্বাচিত হন এবং সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেন ।
তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, নিষ্ঠা ও সততা সমৃদ্ধ জনপ্রিয়তার কারনে বার বার প্রতিপক্ষের নিকট তাকে
ঈর্ষার শিকার হতে হয়েছে । রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী তথা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের কতিপয়
দুর্বৃত্তের হামলায় তিনি অনেক বার গুরুত্বর আহত হয়েছেন । অনেক বার তার বসতবাড়ীতে হামলা ও ব্যাপক ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে । তারপরও তিনি অবিচল আস্থা নিয়ে শহীদ জিয়ার আদর্শ অনুসরন করে এলাকার রাজনৈতিক ময়দানকে করেছেন প্রাণবন্ত-সজীব ও বেগবান । বর্তমান অবৈধ সরকারের রাজনৈতিক রোষানলের শিকার হয়ে তিনি অনেকবার কারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত আরও ১০টি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে ।
১/১১’র সময় চরম রাজনৈতিক সঙ্কটে ভিপি আয়নুল হক ছিলেন সোচ্চার । তত্ত্বাবধায়ক সরকারের
চক্রান্তে- যখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গৃহবন্দী এবং জনাব তারেক রহমান কারাবন্দী তখন সারাদেশে ছিল থমথমে অবস্থা । এ অবস্থায় তিনি থেমে না থেকে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের মুক্তির দাবীতে দেশের ভিতরে সর্বপ্রথম অত্র এলাকায় ব্যাপক হাতেলেখা পোস্টারিং এবং বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদ করেন যা ছিল তখনকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিষেধাঞ্জার পরিপন্থি । একারনে তিনি ও তার পরিবারের ৪জন সহ মোট ৭জন নেতাকর্মীকে কারা ভোগ করতে হয়েছে । ২০০৭ সালের ৭ জুলাই সন্ধ্যায় তিনি টেলিফোনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে কথা বলেন । বেগম খালেদা জিয়া তাকে ধন্যবাদ এবং ধৈর্য্য ধারণের পরামর্শ দেন ।
তৃণমূল থেকে উঠে আসা ভিপি আয়নুল হকের উপরে যে নির্যাতন হয়েছে তা অত্র এলাকায় অদ্বিতীয়।
বিএনপি’র নতুন ধারার আন্দোলন ও রাজনীতিকে সফল এবং বেগবান করতে তার মতো ত্যাগী ও তেজস্বী জননেতাকে দলীয় মনোনয়নে মনোনীত করে সার্বিক সাফল্য অর্জন করা অতীব প্রয়োজন বলে আমরা শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত এলাকাবাসী এটা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি এবং দৃঢ়ভাবে তা বাস্তবায়নের জোর দাবী জানাচ্ছি ।
প্রচারেঃ রায়গন্জ-তারাশ ও সলংগাবাসীর পক্ষে বিএনপি ও তার সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের তৃণমূলের নেতাকর্মীবৃন্দ ।